আন্তর্জাতিক পরিসরে মানুষের যাতায়াতকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে হাতে লেখা পাসপোর্টের বদলে প্রবর্তিত হয়েছিল মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। কিন্তু মেশিন রিডেবল পাসপোর্টেও জালিয়াতি করা হচ্ছে বিধায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনাকে আরো নির্ভুল, সহজতর, সময়-সাশ্রয়ী ও স্বাচ্ছন্দময় করতে বিশ্বের ১১৮ টি দেশ ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে।
ই-পাসপোর্টের CHIP এ সকল তথ্য, স্বাক্ষর, ছবি, চোখের কর্ণিয়া এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট সিল্ড অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে, বিধায় তা কোনভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ই-পাসপোর্ট একটি পরিক্ষীত, নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ দলিল এবং পৃথিবীর কোথাও এটি জাল করা সম্ভব হয়নি। এই পাসপোর্ট প্রবর্তিত হলে বাংলাদেশি জনগণের মর্যাদা বিশ্বের দরবারে উজ্বল হবে এবং হয়রানীমুক্তভাবে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে পারবে।
জার্মানির সাথে জি টু জি পদ্ধতিতে টার্ন কি পদ্ধতিতে নিম্নোক্ত সেবা
এই প্রকল্পের আওতায়-
ক) ভেরিডোস জার্মান কোম্পানি ৩ কোটি ই-পাসপের্টি বুকলেট সরবরাহ করবে৷
খ) ঢাকার উত্তরাতে একটি এসেম্বলি কারখানা স্থাপন করবে, যার ফলে কমপ্লিট ই-পাসপোর্ট বুকলেট আমদানীর তুলনায় এসেম্বিলিকৃত ই-পাসপোর্টে বুকলেটের মূল্য অর্ধেকের চেয়েও কম হবে।
গ) ৫০টি ই-গেট প্রদান করবে৷
ঘ) সকল সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ১০ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ সেবা প্রদান করবে৷
ঙ) একটি নতুন স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটা সেন্টার ও একটি ডিজাসটার রিকভারি সেন্টার এবং অত্যাধুনিক পার্সোনালাইজেশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে; পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে ৮টি প্রিন্টিং মেশিন থাকবে এবং যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রতিশিফটে ৩০ হাজারেরও বেশি পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব হবে৷
চ) বাংলাদেশে ৭২ টি পাসপের্টি অফিস, বিদেশে ৮০টি মিশন, ৭২টি এসবি/ডিএ্সবি অফিস, ২২টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ সকল অফিসে প্রয়োজনীয় সকল ইকুইপমেন্ট, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক প্রদান করবে ৷
ছ) এই প্রকল্পের আওতায় ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভেরিডোস জিএমবিএইঢ কোম্পানি জার্মানীতে ০২ সপ্তাহব্যাপী হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ৷
প্রকল্পের শিরোনামঃ বাংলাদেশে ইঁ-পাসপোর্ট বাস্তবায়ন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা
বাস্তবায়ন পদ্ধতিঃ জার্মানির সাথে জি টু জি ভিত্তিতে টার্ন কী পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
কোম্পানি নামঃ ভেরিডোস জিএমবিএইচ, জার্মানি
বাস্তবায়নকারী সংস্থাঃ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর