আবেদন ফরম পুুরণের পূর্বে নিচের তথ্য গুলো ভালোভাবে পড়ে নিন
একটি ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য:
সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারী, সরকারি চাকরিজীবীগণের স্বামী/স্ত্রী এবং তাদের নির্ভরশীল ১৫ (পনের) বছরের কম বয়সী সন্তান। এক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যুকৃত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আপলোড কৃত অনাপত্তি সনদ (NOC) দাখিল করতে হবে। এবং তাঁরা সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন।
সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাষিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, যাদের প্রাসঙ্গিক এনওসি(NOC)/ জিও (GO) আছে তাঁরা সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন । এক্ষেত্রে এনওসি(NOC)/ জিও (GO) আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েব সাইটে আপলোড থাকতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্বামী/স্ত্রী। তারা সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(পেনশন বই-এর কপি/ পিআরএল মঞ্জুরির আদেশ) দাখিল করতে হবে।
ইতোপূর্বে যাদের বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে(মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি এমন, তবে ইস্যূর তারিখ থেকে ১২ বছরের অনধিক) তারা আবেদনের সময় উক্ত পাসপোর্ট সমর্পন করলে একটি ফরম পূরন করতে হবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোডকৃত ফরম অথবা অনলাইনের পূরণকৃত ফরম অবশ্যই উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করতে হবে।
দুইটি ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য:
উপরের অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতিত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দুইটি ফরম পূরণ করতে হবে।
নতুন পাসপোর্টের জন্য ।
১২ বছর উত্তীর্ণ হাতে লেখা পাসপোর্টের ক্ষেত্রে।
পূর্ববর্তী এমআরপির স্হায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হলে।
যে সকল ব্যক্তিগণ পাসপোর্টের আবেদনপত্র ও ছবি প্রত্যায়ন ও সত্যায়ন করতে পারবেন:
সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, কাউন্সিলরগণ, গেজেটেডড কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও পৌর কাউন্সিলরগণ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, নোটারী পাবলিক ও আধা সরকারী/ স্বায়ত্বশাসিত / রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তাগণ।
আবেদনকারীকে নিম্ন্ লিখিত দলিলাদি আবেদনপত্রে অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে:
জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহের (যেমনঃ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) সত্যায়িত ফটোকপি
অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে প্রতি সেট আবেদনে ফরমের সাথে আবেদনকারীর পিতা ও মাতার একটি করে রঙ্গিন ছবি ( ৩০ × ২৫ মি.মি.) আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়ন করতে হবে।
অন্যান্য নির্দেশাবলী
আবেদনকারীকে স্বশরীরে পাসপোর্ট অফিসে এসে আবেদন দাখিল এবং প্রি ও বায়োএনরোলমেন্ট করতে হবে। তবে পাঁচ বৎসরের নীচে শিশুদের সাদা ব্যকগ্রাউন্ডের 3R/4R ছবি নিয়ে আসতে হবে।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট লাভের যোগ্য আবেদনকারীগণকে পূরণকৃত ফরম ও সংযুক্তিসমূহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
শিক্ষাগত বা চাকুরীসূত্রে প্রাপ্ত পদবিসমূহ (যেমনঃ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টর, পিএইচডি ইত্যাদি ) নামের অংশ হিসাবে পরিগণিত হবে না।
ফরমের ক্রমিক নং ৩ পূরণের ক্ষেত্রে, একাধিক অংশ থাকলে প্রতি অংশের মাঝখানে ১টি ঘর শূণ্য রেখে পূরন করতে হবে। আবেদনকারীর পিতা, মাতা স্বামী/স্ত্রী মৃত হলে ও নামের পূর্বে’মৃত/মরহুম/Late’লেখা যাবে না।
পাসপোর্ট সমর্পণকৃতদের (সারেন্ডারড)আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই পূর্বের পাসপোর্ট নিয়ে আসতে হবে।
ছবি তোলার সময় সাদা পোশাক, সাদা টুপি এবং চোখে চশমা পরা যাবে না।
ছবি, স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ প্রদানের পুর্বে একটি প্রাক ডেলিভারী রশিদ প্রদান করা হয় যাতে পাসপোর্ট এ প্রদর্শিত সকল তথ্য দেওয়া থাকে। উক্ত রশিদে আপনার তথ্য সঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন এবং কোন তথ্য ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে জানিয়ে তাৎক্ষণিক সংশোধন করে নিতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, পাসপোর্ট আবেদনকারীর ছবি, স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ প্রদানের পর মূল ডেলিভারী রশিদ প্রদান করা হয় এবং এরপর সংশোধনের আর কোন সুযোগ থাকে না। অতএব, কাউন্টার ত্যাগের পূর্বে আপনার তথ্য যাচাই করে ডেলিভারী রশিদ বুঝে নিন।
www.passport.gov.bd এই ঠিকানায় প্রবেশ করে Application Status অপশন থেকে ডেলিভারী রশিদে প্রদত্ত আপনার Enrolment ID এবং Date of Birth প্রদান করে আবেদনের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারবেন।
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর তাদের নিজস্ব ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে। বিস্তারিত....